• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৯-৮-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০১:২০

নওগাঁর সাত উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা



নওগাঁ প্রতিনিধি►

“আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আজ বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে বিটিভি'র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ২২ হাজার ১০১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় দুই শতাংশ খাস জমিসহ গৃহ প্রদান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে নওগাঁ জেলায় ২০২টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘরের চাবি ও কাগজপত্রাদি হস্তান্তর করা হয়।

এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৩০টি, আত্রাই উপজেলার ৪৫টি এবং বদলগাছি উপজেলায় রয়েছে ২৭টি ঘর। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশর সঙ্গে হালনাগাদ নিরূপিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের তালিকা অনুযায়ী জেলার সদর, আত্রাই, বদলগাছী, নিয়ামতপুর, মান্দা, পোরশা ও সাপাহার উপজেলায় সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হওয়ায় এই সাতটি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করেন।

ঘর হস্তান্তর করা উপলক্ষ্যে বুধবার সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. রবিন শীষ।

এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আফজাল হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ’মি) রফিকুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সকল সুবিধাভোগী ও অন্যান্য গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১০৫৬টি পরিবার, ২য় পর্যায়ে ৫০২টি পরিবার, ৩য় পর্যায়ে ৭৩৭টি পরিবার এবং চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১২৯০টি পরিবারসহ ইতিমধ্যেই জেলার মোট ৩৫৮৫টি ভ’মিহীন-গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সেমি পাঁকা ইটের ঘর প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। আর চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২টি গৃহ প্রদানের মধ্যে দিয়ে জেলায় মোট পুর্নবাসিত পরিবারে সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭৮৭টি।